সুসং দুর্গাপুর। কৃত্তিমতা বিবর্জিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের শ্রেষ্ঠ স্থান। সারিবদ্ধ সবুজ পাহাড়, স্বচ্ছ পানির পাহাড়ী নদী সোমেশ্বরী, বিভিন্ন ছড়া, দিগন্ত বিস্তৃত বালুচর যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। এখানে আছে বাংলাদেশের একমাত্র চীনামাটির খনি (পাহাড়), আছে নীল পানির লেক যা আপনাকে একইসাথে মুগ্ধ ও বিস্মিত করবে।
ভ্রমন পিপাসুদের তৃষ্ণা মেটাতে এখানে আছে জমিদার বাড়ি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমী, টংক আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ, সাধু যোসেফের ধর্মপল্লী, হাজং মাতা রাশিমণি স্মৃতিসৌধ, কমলা রানীর দিঘী ইত্যাদি।
এছাড়া এই অঞ্চলের রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্য। এক সময় দুর্গাপুর ছিল সুসং রাজ্যের রাজধানী। ৩ হাজার ৩শ' ৫৯ বর্গমাইল এলাকা ও প্রায় সাড়ে ৯শ' গ্রাম নিয়ে প্রতিষ্ঠিত সুসং রাজ্যের রাজধানী ছিল দুর্গাপুর। ১২৮০ খৃষ্টাব্দে (৬৮৬ বঙ্গাব্দ মাঘ মাস) সোমেশ্বর পাঠক মতান্তরে সোমনাথ পাঠক নামে এক অভিযাত্রী স্থানীয় লোকদের অনুরোধে ও সহযোগিতায় 'বৈশ্য গারো' নামের প্রবল পরাক্রমশালী এবং অত্যাচারী এক গারো রাজাকে পরাজিত করেন। এবং সু-সঙ্গ অর্থাৎ ভাল সঙ্গ নামে এক সামন্ততান্ত্রিক রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
কালের বিবর্তনে এটাই আজ দুর্গাপুর, যা "সুসং দুর্গাপুর" নামে বেশী পরিচিত।
এই সুসং দুর্গাপুরের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি "সুসং দুর্গাপুরে" ভ্রমনকারীদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করাই এই Page (Susang Durgapur - সুসং দুর্গাপুর) এর মূল উদ্দেশ্য।